ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় সাফারি পার্কের গেইটের অবৈধ ইজারা কার্যক্রম বন্ধে প্রকল্প পরিচালককে আইনী নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::  চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের গেইটের অবৈধ ইজারা কার্যক্রম বন্ধে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগ চট্টগ্রামের (প্রকল্প পরিচালক) বিভাগীয় বনকর্মকর্তাকে আইনী নোটিশ দেয়া হয়েছে। রোববার (৩ জুন) পার্কের সর্বোচ্চ ডাককারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস সজীব এন্টারপ্রাইজের মালিক চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদীর পক্ষে সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি গাজী মুহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম এ আইনী নোটিশটি দিয়েছেন।

নোটিশে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগ চট্টগ্রামের (প্রকল্প পরিচালক) বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজকে আগামী সাতদিনের মধ্যে বিষয়টির আলোকে যথাযথ জবাব প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছেন বাদিপক্ষের আইনজীবি। অন্যথায় বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইর্কোট বিভাগে বাংলাদেশ সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ মোতাবেক বাদিরপক্ষে রিট দায়ের করতে বাধ্য হবে। পরবর্তীতে রিট দায়ের সংক্রান্ত সকল খরচ ও পরিণতির জন্য দরপত্রে শর্ত লঙ্ঘনকারীগন আইনগত: দায়ী থাকিবে বলে উল্লেখ করেছেন।

নোটিশে আইনজীবি গাজী মুহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রানালয়ের অধীনস্থ বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগ চট্টগ্রামের অধীন চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের গেইট, গাড়ি পাকিং, ক্যাম্পিং/পিকনিক গ্রাউন্ড, একটি কেন্টিন, দুইটি টয়লেটের ফ্রি আদায়ের জন্য ইজারা নিমিত্তে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে গত ১৮ এপ্রিল তারিখে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উল্লেখিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে ২৪ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত দরপত্র বিক্রির শেষ তারিখ, ৯ মে তারিখে দরপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ও একইদিন খোলার তারিখ সময় নির্ধারণ করা হয়।

দরপত্রে জারি করা নীতিমালার আলোকে নোটিশদাতা প্রতিষ্ঠান মের্সাস সজীব এন্টারপ্রাইজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৯৫ লাখ ৫০ টাকার বিপরীতে পার্কের সর্বোচ্চ ডাককারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হন। কিন্তু অভিজ্ঞতার অজুহাত তুলে কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে সর্বোচ্চ ডাককারী প্রতিষ্ঠানকে গেইট ইজারা না দিয়ে ৮৫ লাখ টাকার বিপরীতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অপর একটি প্রতিষ্ঠানকে ইজারাদার নিয়োগ করার পায়ঁতারা করছেন।

নোটিশে আইনজীবি গাজী মুহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ আপনার কর্তব্য সরকারি সম্পদ সুরক্ষা করা। সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্দিতে সহায়তা করা হয়। কিন্তু আপনি সেটি না করে ৯৫ লাখ ৫০ হাজার বিপরীতে সর্বোচ্চ ডাককারী প্রতিষ্ঠানকে গেইট ইজারা না দিয়ে ৮৫ লাখ টাকার বিপরীতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অপর একটি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা পাইয়ে দিতে তৎপর রয়েছেন। সেই কারণে সরকার অন্তত ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার রাজস্ব ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। #

পাঠকের মতামত: